Blog

How to Study When You Have No Motivation

How to study when you have no motivation Garner stationery

 How to Study When You Have No Motivation

কখনো কখনো কি এমন হয় যে অনেক পড়া বা হোমওয়ার্ক বাকি কিন্তু করতে একদম ইচ্ছা করছে না ? আবার পড়তে বসলেও একদমই পড়তে মন বসছে না? কোনোভাবেই ফোকাস ঠিক রাখা যাচ্ছে না? পড়ার জন্য কোনো মোটিভেশনই যেন কাজ করছে না? 

এরকমটা শুধু আপনার সাথেই না, ছাত্রজীবনে ও কর্মজীবনে এটা খুবই কমন একটা বিষয়। 

এখানে সব থেকে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ও চ্যালেঞ্জিং হলো যখন এরকম লো ফীল হয় বা কোনো কিছুতে মন বসে না এরকম পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেকে মোটিভেট করা যায় ও কিভাবে সামনে এগিয়ে যাওয়া যায়। পরীক্ষা সামনে থাকতে পারে, এসাইনমেন্ট জমা দিতে হতে পারে বা কোনো গুরুত্বপূর্ণ কাজ সময়ের মধ্যে করতে হতে পারে। এরকম পরিস্থিতিতে কিভাবে নিজেকে উৎসাহ দিয়ে সামনে এগিয়ে যেতে হবে ও নিজের লক্ষ্যের উপর ফোকাস থাকতে হবে  এগুলোর নিয়ে আমরা কিছু কথা বলবো।  

১. কারণ খুঁজে বের করা : 

যেকোনো সমস্যার যদি কারণ খুঁজে বের করতে পারা যায়, তাহলে সমস্যার সমাধান সহজেই করা যায়।  পড়তে ইচ্ছা করছে না কেন তার কারণ আগে খুঁজে বের করতে হবে। যে সাবজেক্ট নিয়ে পড়ছি সেটাকি খুব বোরিং নাকি টপিক বুঝতে কঠিন লাগছে? সিলেবাস অনেক বড়, কিন্তু হাতে সময় অনেক কম? 

এক্ষেত্রে একটা পেপার আর পেন (paper & Pen) নিয়ে জলদি নোটডাউন করে ফেলতে হবে মনে কি কি বিষয় নিয়ে চিন্তা আসছে । যখন চিন্তা গুলো কাগজে লেখা হয়ে যাবে এরপর সমস্যার মূল কারণ কি তা সহজে  বুঝা যাবে এবং তা সমাধান করার জন্য ভালো ভাবে পরিকল্পনা করা যাবে। 

See the pen collection and notebooks collection at Garner Stationery

 

২. প্ল্যান করা ও গোল সেট করা: 

মূল লক্ষ্যকে সামনে রেখে ছোট ছোট প্ল্যান করা ও সেই অনুযায়ী কাজ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। নোটবুকে একটা লিস্ট করে ফেলতে হবে নিজের পরিকল্পনার। কোন সাবজেক্ট কখন পড়ব, কোন টপিক এর উপর কত সময় দিবো। যখন লিখিতো আকারে থাকে কোনো প্ল্যান, সেটা ফলো করতে সুবিধা হয়। আবার এটাও বুঝা যায়, প্ল্যান কতটা ফলো করা হচ্ছে বা এটা কতটা কার্যকরী হচ্ছে।  যখন নিজের প্ল্যান অনুযায়ী পড়া বা এসাইনমেন্ট কমপ্লিট হয় নিজের কাছেও ভালো লাগা শুরু হয় ও মোটিভেশন আসে আরো কাজ করার।

To do list করার জন্য ভালো ভালো নোটবুক (notebook), কালারফুল পেন (color pen) ও স্টিকি নোটস (sticky notes) ব্যবহার করা যেতে পারে।    

৩. পড়ার টেবিলকে গুঁছিয়ে রাখা: 

এলোমেলো জায়গায় কোনো কাজ ভালো ভাবে করা যায় না। তাই নিজের রুম, পড়ার টেবিল ও আশেপাশের জায়গা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বই, নোটবুকস জায়গা মতো রাখা যাতে সময় মতো পাওয়া যায়।  আবার স্টেশনারি আইটেম গুলো (stationery items) গুঁছিয়ে রাখলে সময়মত ব্যবহার ও করা যায়  আবার হারিয়েও যায়  না।  

এর জন্য বুকশেলফ (bookshelf), পেন হোল্ডার (pen holder), ডেস্ক অর্গানিসর (desk organizer), পেন্সিল ব্যাগ (pencil bag), ফাইল এন্ড ফোল্ডার (file & folder)  ব্যবহার করলে পড়ার টেবিল অনেক বেশি গুছালো  থাকবে। 

ডেস্ককে অনেক বেশি গুঁছিয়ে রাখতে ব্রাউস করুন বিভিন্ন রকমের Desk Organizers

 

৪. পড়ালেখাকে ইন্টারেষ্টিং করে তোলা: 

পড়ালেখাকে বোরিং ভাবলে পড়তে বোরিং লাগবে। যে সাবজেক্টএ কোনো ইন্টারেস্ট নেই কিন্তু এক্সাম এর জন্য পড়তেই হবে সেটাকে ইন্টারেষ্টিং করে তুলতে পারলে সাবজেক্ট বা টপিক পড়তে ও বুঝতে খুব সমস্যা হবে না। পড়া মুখস্ত না করে প্রথমে সেটাকে বোঝার চেষ্টা করতে হবে।  কোথায় ও কিভাবে বাস্তব জীবনে কাজে লাগে সেটা খুঁজে বের করতে হবে। অনেক টিচার আছেন যারা খুব মজা করে পড়ান আবার ভিডিও করে আপলোড দেন তাদের ভিডিও দেখে টপিকতা ক্লিয়ার করে নেওয়া যেতে পারে।  যেমন গণিতের জন্য চমক হাসান এর ইউটুবে চ্যানেলটি ফলো করতে পারেন। 

নোটবুকে নোট নেয়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।  কঠিন কোনো টপিক নিজের ভাষায় লিখতে পারলে পড়া অনেক সহজ হয়ে যায়।  নোটবুককে আরো আকর্ষণীয় করতে বিভিন্ন ধরনের কালার পেন (color pen), হাইলাইটার্স (highlighters) ব্যবহার করা যেতে পারে।  স্টিকি নোটে (sticky note) এ খুব ইম্পরট্যান্ট টপিক লিখে নোটবুকে (notebook) রেখে দিলে সহজে মনে থাকবে। যেটা কঠিন এবং বার বার দেখার প্রয়োজন আছে এমন টপিক স্টিকি নোটে (sticky note) লিখে টেবিল এর সামনে রেখে দেয়া যেতে পারে।  তাহলে সহজে টপিকটা আত্মস্থ হবে।  

নোটবুক এর জন্য ভালো স্টেশনারি দেখতে ক্লিক করুন Garner Stationery. 

 

৫. মনোযোগ ধরে রাখা: 

আমাদের চারিপাশে সেইসব জিনিসে বেশি ভরপুর যেগুলাতে আমাদের মনোযোগ দ্রুত নষ্ট হয়।  আমাদের লেখাপড়াতে বেশি distract করে যে জিনিস গুলো সেগুলোকে পড়ার সময় দূরে রাখতে হবে আর  প্রয়োজনীয় জিনিষগুলো কাছে রাখতে হবে।  

  • পড়ার সময় মোবাইল ফোন কে সুইচ অফ রাখা, বা সাইলেন্ট মোড এ রাখা। অন্য রুমে রেখে দিতে পারলে আরো ভালো।  
  • ইন্টারনেট প্রয়োজন না হলে ডিসকানেক্ট করে রাখা। 
  • সোশ্যাল মিডিয়া এর নোটিফিকেশন অফ করে রাখা। 
  • যতক্ষণ পড়বো, টার্গেট রাখা যেন ফোন এ হাত না দেওয়া হয়।  অনেক সময় ৫ মিনিটের জন্য ফোন ব্রাউস করবো মনে করে কখন যে ২ ঘন্টা পার হয়ে যায় আমরা বুঝতে পারি না। সোশ্যাল মিডিয়া ও স্মার্ট ফোন সময় খাদক।  
  • হাতের কাছে পানির বোতল, ময়লা ফেলার ছোট বিন ও কিছু হেলথি স্ন্যাক্স রাখা যেতে পারে যাতে বার বার উঠতে না হয়।  
  • পরিবারে আগেই বলে দেওয়া যে খুব প্রয়োজন না হলে যেন ডাকাডাকি না করা। ও ছোট ভাই বোন কে পড়ার সময়টাতে ঘরে আসতে নিষেধ করা।  
  • মনোযোগ বাড়ানোর জন্য হালকা করে মৃদু মিউজিক (লিরিক ছাড়া) দিয়ে রাখা যেতে  পারে ।  

 

৬. নিজেকে পুরস্কার (reward) দেওয়া: 

নিজেকে মোটিভেট ও পসিটিভ ফীল করাতে হলে কখনো কখনো নিজেকেও cheer up করতে হয়, নিজের জন্য হাতে তালি বাজাতে হয়, নিজেকে সাবাশি দেয়ার প্রয়োজন হয়। ছোট ছোট কাজের লিস্ট করে তা সম্পূর্ণ করতে পারলে নিজেকে ছোট ছোট পুরস্কার দেয়ার টার্গেট রাখলে অনেক সময় এটা মুড ভালো করে ও উৎসাহের কারণও হয়। যেমন পড়া কমপ্লিট করতে পারলে নিজেকে একটা ice-cream ট্রিট দেওয়া, বা যে বই ভালোবাসে সে পছেন্দের বই অর্ডার করতে পারে আবার যারা kawai stationery পছন্দ করে তারা নিজেদের জন্য নতুন স্টেশনারি অর্ডার করতে পারে।  

স্টেশনারি অর্ডার করতে ব্রাউস করুন  Garner Stationery

 

৭. গ্রুপ স্টাডি করা: 

অনেক সময় একা একা পড়তে ভালো লাগে না আবার পড়াও বুঝা যায়না। এক্ষেত্রে গ্রুপ স্টাডি খুব ভালো একটা সল্যুশন। অন্যকে পড়তে দেখলে অনেক সময় নিজের মোটিভেশন বেশি হয়। আবার গ্রুপে পড়লে ফোন বা সোশ্যাল নেটওয়ার্কে সময় নষ্ট কম হয়।  একজন আর একজনকে উৎসাহ দেয়া যায়। যে টপিক যে বন্ধু বেশি ভালো বুঝে সে অন্যকে হেল্প করতে পারে। তাই এখানে প্র্যাক্টিস ও রিভিশন বেশি হয়।  গ্রুপে স্টাডি করলে শেখা ও শেখানো দুইটাই হয়।  তবে এক্ষেত্রে খেয়াল রাখতে হবে যে গ্রুপে একই লক্ষ্যের সদস্য থাকতে হবে। গল্প করার উদ্যেশ্য নিয়ে গ্রুপ এ বসলে সময় নষ্ট হবে এবং এটাতে পরে নিজের আফসোস হবে।  

 

৮.  নিজের লক্ষ্য সম্পর্কে পরিষ্কার থাকা: 

নিজের আলটিমেট লক্ষ্য কি সেটা সম্পর্কে নিজের কাছে পরিষ্কার থাকা। পড়ালেখা, রেজাল্ট বা বিষয় জ্ঞান নিজেকে লক্ষ্যের দিকে কিভাবে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে সেটা সম্পর্কে জানা ও নিজেকে সব সময় মনে করিয়ে দেওয়া। ভিজুয়ালাইজ করা নিজের স্বপ্নকে। তাহলে নিজের কাজে আরো বেশি ফোকাস হওয়া যাবে ও মোটিভেশন আসবে কাজটি ভালো ভাবে করার।  

 

৯. সবসময় ভালো কিছু পড়া, শোনা ও দেখা: 

নিজেকে মোটিভেট রাখতে, পসিটিভ রাখতে আমাদেরকে মেন্টাল ডায়েট শিখতে হবে। আমি কি পড়ছি, কি দেখছি ও কি শুনছি সেটাও অনেক প্রভাব রাখে আমাদের মনের উপর। ভালো বই, অনুপ্রেরণা দেয় এমন জীবনী আমরা পড়তে পারি। আবার ভালো গল্প পড়তে ও শুনতে পারি।  ভালো মুভি দেখতে পারি ও গান শুনতে পারি। অনেক মোটিভেশনাল ভিডিও আছে যাদেরকে মাঝে মাঝে আমরা শুনতে পারি। অনুপ্রেরণামূলক কিছু কথা আমরা কাগজে লিখে দেয়ালে ঝুঁলিয়ে রাখতে রাখতে পারি যেন নিজেকে মোটিভেট রাখা যায়।  

স্টিভ জব এর অডিওটি শুনতে ক্লিক করুন: Steve Jobs Speech

 

১০. নিজেকে ফিট রাখা: 

সব থেকে গুরুত্বপূর্ন হলো, সিচুয়েশন যেমনি হোক না কেন নিজেকে শারীরিক ও মানসিক ভাবে ফিট রাখতে হবে। নিজের যত্ন নিতে হবে। নিজের খাওয়া দাওয়া ও ঘুমের প্রতি যত্নশীল হতে হবে। যতটা সম্ভব হয় জাঙ্ক খাবার থেকে দূরে থাকা। শাকসবজি, ফলমূল, ডিম্, দুধ ও হেলথি স্নাক্স খাওয়া। সময়মতো ঘুমানো ও ঘুম থেকে উঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। পড়ার মাঝে মাঝে একটু বিরতি নেওয়া ও গঠনমূলক কাজে অংশ নেয়া। নিয়মিত গোসল ও  নিজেকে পরিষ্কার -পরিছন্ন রাখা। প্রতিদিন কিছু সময় exercise ও yoga করা। সারাদিনে পর্যাপ্ত পানি খাওয়া ও সারাদিনে কয়েক দফা দমের exercise করা।  এই অভ্যাসগুলো সুস্থ ও ডিসিপ্লিন জীবন দিতেও সাহায্য করবে। এবং নিজেকে মোটিভেট রাখতে সহজ হবে।  

স্টুডেন্টদের জন্য কিছু Yoga: ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ইয়োগা

 

নিজেকে মোটিভেট রাখার খুব ভালো উপায় হলো সময়ের কাজ সময়ে করা ও গুঁছিয়ে করা। যখন একটু কম ভালো লাগছে সেক্ষত্রে “আমি পারি, আমি করবো” এই টাইপের autosuggestion নিজেকে দিতে পারি আমরা। 

আরো autosuggestions পেতে  জন্য লিঙ্কে ক্লিক করুন: কোয়ান্টাম হাজারো অটোসাজেশন 

 

আমাদের অভিজ্ঞতা ও অনুভব থেকে কিছু পয়েন্ট আমরা এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি মাত্র।  আপনার জন্য কোনটা বেশি উপযোগী বা আপনি নিজে প্রাকটিস করে উপকার পেয়েছেন সেটা কমেন্ট বক্স  এ আমাদের কে লিখে জানাতে পারেন। 

 

কোনো পরামর্শ থাকলে যোগযোগ করতে অনুরোধ থাকছে – garnerstationery@gmail.com

 

Leave a Reply