How to Manage Stress
How to Manage Stress | Top Tips to Manage Stress for Students
ছাত্র জীবনে স্ট্রেস খুবই কমন একটা শব্দ হলেও এটা আমাদের পড়ালেখা, রেজাল্ট, শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্য, সম্পর্ক, ব্যবহার ও জীবনের অগ্রগতিকে অনেক প্রভাবিত করে।
অনেকে আছে এই স্ট্রেসকে খুব সহজে দমন করতে পারে এবং সামনে এগিয়ে যায়। খুব কঠিন পরিস্থিতিতে ও লেগে থাকতে পারে থাকে আর সামনে এগিয়ে যায়।
আবার অনেকে আছে একটু কম ভালো পরিস্থিতি আসলেই মুষড়ে পরে। নিজের স্বপ্ন থেকে ছিটকে যায়।
জীবনে অনেক কারণেই স্ট্রেস আসতে পারে। তবে ছাত্র জীবনে স্ট্রেস এর মূল কারণ গুলো হলো –
১. ক্লাসের পড়ার প্রেসার
২. হোমওয়ার্ক
৩. সফল হওয়ার প্রতিযোগিতা
৪. সঠিক সিদ্ধান্ত না নিতে পারা
৫. সামাজিক প্রতিবন্ধকতা
৬. সম্পর্কগত কারণ যেমন পরিণয় ও বিচ্ছেদ
৭. অর্থনৈতিক সহ আরো অনেক কারণ হতে পারে।
সব থেকে বেশি কঠিন কাজ হলো স্ট্রেস এর কারণ খুঁজে বের করা। সমস্যার কারণ খুঁজে বের করতে পারলে অর্ধেক সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। বাকি কিছু টেকনিক দিয়ে স্ট্রেস সহজেই ম্যানেজ করা যেতে পারে। তবে সবার ক্ষেত্রে সবটা সম্ভব না ও হতে পারে আবার সবার সব কিছু ভালো লাগবে সেটাও না। তাই যে কৌশলটা যার জন্য প্রযোজ্য সে সেটা বেছে নিতে পারে ও অনুশীলন করতে পারে।
আমরা এ ক্ষেত্রে এক্সপার্ট না হলেও নিজেদের অভিজ্ঞতা ও অনুভব থেকে কিছু সহজ টেকনিক এখানে উল্লেখ করা হলো :
১. সময়ের কাজ সময়ে করা:
আজকের কাজ কালকের জন্য ফেলে না রেখে সময়ের কাজ সময়ে করা উত্তম। বেশির ভাগ স্টুডেন্টই পড়া পরীক্ষার আগের রাতের জন্য ফেলে রাখে এবং শেষ মূহূর্তে অনেক চাপ নিতে হয়। যার ফলে অনেকের পরীক্ষা ভীতি শুরু হয়। ঘুম কম হয় ও খাবারে অরুচি আসে। শারীরিক ও মানসিক ভাবে অসুস্থতা অনুভব করে।
এক্ষেত্রে একটা goal সেট করে সে অনুযায়ী কাজ করলে কাজ বা পড়া সহজ হয়ে যায় এবং শেষ মুহূর্তের তাড়াহুড়াটা আর থাকে না।
২. Journal লেখার অভ্যাস গড়ে তোলা:
মনের সব অনুভূতি গুলো journal এ লিখলে অনেক সময় বুঝতে সুবিধা হয় যেগুলোকে আমরা অনেক বড় সমস্যা মনে করছি আসলে তার অস্তিত্ব কি। আবার অনেক সময় সমস্যার সমাধান গুলো ও যেন মাথায় চলে আসে। অন্যদিকে সেগুলা কাগজে লিখে ফেললে মন অনেক হালকা লাগা শুরু করে।
Gratitude journal লেখা খুবই ভালো একটা অভ্যাস হতে পারে। প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর আগে ৫ মিনিট সময় ব্যয় করে gratitude journal লেখা যেতে পারে যে আজ সারাদিন কি ঘটেছে বা আমার কাছে কি আছে যার কারণে আমাকে থ্যাংকফুল হওয়া উচিত।
পছন্দের নোটবুক (Notebook) ও কালারফুল পেন (colorful pen) ব্যবহার করে journal কে আরো ইন্টারেস্টিং ও বিউটিফুল করে তুলতে পারেন।
See our more Notebook collection and Colourful Pen
৩. আঁকিঝুকি শুরু করা :
ড্রয়িং বা পেইন্টিং খুবই সহায়ক স্ট্রেস ম্যানেজ করতে। খুবই বেসিক কিছু জিনিস দিয়েই শুরু করা যেতে পারে। কালার পেন্সিল (color pencil), আর্ট এন্ড স্কেচ বুক (art and sketch books), জল রং (water color), ড্রয়িং পেন্সিল (drawing pencil), পেন (color pen) ও এরসের দিয়ে সহজেই ড্রইং করা শুরু করা যেতে পারে যখন একটু কম ভালো লাগে বা স্ট্রেস ফীল হয়।
অনেকেই আছে যারা ড্রয়িং সেভাবে পারে না আবার ইন্টারেস্টও কম সেক্ষেত্রে কালার বই রং করা ও অনেক ভালো স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট টেকনিক যেটাকে আর্ট থেরাপি (Art Therapy) ও বলে। কিছু ড্রয়িং বা স্কেচ অলরেডি করা থাকে, সেগুলোকে শুধু কালার করা রং পেন্সিল বা পেন দিয়ে। ভিডিও টি দেখতে ক্লিক করুন
কালার পেন্সিল ও কালার পেন ব্রাউস করতে ক্লিক করুন More Art Items
৪. পর্যাপ্ত ঘুম:
আমাদের সুস্থতার জন্য শরীর ও মনকে বিশ্রাম দেওয়া আবশ্যক। তাই ঘুমের বিকল্প নেই। মনোযোগ বৃদ্ধি, আলস্য দূর ও ফিট থাকতে একজন প্রাপ্ত বয়স্ককে প্রতিদিন ৭ থেকে ১০ ঘন্টা ঘুমতে হবে।
সময় মতো রাতে ঘুমতে যাওয়া ও সময় মত সকালে ঘুম থেকে উঠার একটা রুটিন করে ফেলতে হবে।
ঘুমকে একদমই অবহেলা করা যাবে না।
৫. সঠিক সময়ে সঠিক খাদ্যভ্যাস:
অনেক সময় স্ট্রেস এর কারণে আমরা হয় বেশি খাই নাহলে একদমই খাওয়া দাওয়া করিনা। দুইটায় ই স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকারক।
আবার অনেক সময় অনেক বেশি জাঙ্ক ফুড, কেক ও পেস্ট্রি খাওয়া হয় যা ওজন বৃদ্ধি সহ আরো অনেক রোগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সময়মত না খেলেও গ্যাস্ট্রিক ও আলসার সহ অনেক শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়।
মানসিক ভাবে ও অনেক বিপর্যয় আনে। তাই সময়মতো সঠিক খাদ্যভ্যাস খুবই জরুরি।
৬. নিয়মিত ব্যায়াম:
প্রতিদিন নিজেকে আধা ঘন্টা হলেও সময় দিতে হবে নিজের কল্যাণের কথা চিন্তা করে। সকালে হাঁটা, ফ্রি হ্যান্ড এক্সারসাইজ বা ইয়োগা খুব ভালো অভ্যাস হতে পারে যদি এটা ধরে রাখা যায়। ফিজিক্যাল এক্টিভিটিজ স্ট্রেসকে অনেক কমিয়ে দিতে হেল্প করে এবং মুড কে ভালো রাখে। একটু ডিফিকাল্ট সময়ে নিজেকে অনেক বেশি পসিটিভ রাখা যায়।
৭. দমের ব্যায়াম:
Breath exercise ও অনেক হেল্প করে স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট এ। যখন একটু অস্থির লাগে একটু যদি Breath exercise করা যায় সহজেই মনকে নিয়ন্ত্রণে আনা যায় ও ভালো অনুভূত হয়।
নাক দিয়ে বড় বড় দম নিয়ে, মুখ দিয়ে দম ছাড়ুন। এভাবে ১০ থেকে ১৫ বার করুন এবং এটাকে অভ্যাসে পরিণিত করুন।
Breath exercise সম্পর্কে আরো ভালো করে জানতে ভিডিও ক্লিপটি দেখতে পারেন।
ভিডিও দেখতে ক্লিক করুন: আপনি ঠিকভাবে দম নিচ্ছেন তো!
৮. নিয়মিত মেডিটেশন করা:
প্রতিদিন নিয়মিত মেডিটেশনের অভ্যাস গড়ে তুলতে পারলে নিজের মনকে নিয়ন্ত্রণ করে তা বর্তমানে রাখা যায়। পড়ালেখাতে মনোযোগ বৃদ্ধি পায় তাই খুব অল্প সময়ে অনেক বেশি পড়া কমপ্লিট হয়। খুব কঠিন পরিস্থিতে নিজেকে ধরে রাখাও সহজ হয়. প্রতিদিন ভোরে মেডিটেশন এর অভ্যাস গড়ে তুলতে পারেন। তার জন্য কোনো মৃদু মিউজিক ব্যবহার করতে পারেন। আর যদি মনে হয় একটা সহায়ক হলে ভালো হয় তার জন্য মেডিটেশন বাংলা অডিওটি ডাউনলোড করতে পারেন নিচের লিংক থেকে।
মেডিটেশন ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন : Meditation download
৯. প্রতিদিন ভালো কথা শোনা বা পড়ার অভ্যাস করা :
প্রতিদিন কিছু ভালো কথা শুনলে বা পড়লে নিজের মধ্যে থেকে শক্তি সঞ্চয় হয়। তাই প্রতিদিন ভালো কিছু শোনা বা পড়ার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। Youtube এ অনেক ভিডিও আছে যেগুলা হেল্প করতে পারে নিজেকে অনেক বেশি মোটিভেট রাখতে।
যারা হিন্দি ভাষা বুঝতে পারেন তারা Sandeep Maheshwari এর ভিডিও দেখতে পারেন।
বাংলাতে “ জীবন-সমস্যার সমাধান” চ্যানেলটি ফলো করতে পারেন।
১০. নিজেকে অটোসাজেশন দেওয়া:
নিজের বর্তমান অবস্থাকে কেন্দ্র করে বা ভবিষৎ এ কি করতে চাই সে অনুযায়ী নিজেকে কিছু ভালো হ্যাঁ সূচক কথা বলার অভ্যাস করলে নিজের ভেতর থেকে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। নিজেকে অনেক বেশি পসিটিভ রাখা যায় ও নিজের লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে যাওয়া যায়। এভাবে অটোসাজেশন অনুশীলন করতে করতে ব্রেন ওই কথা গুলি নিয়ে নেই এবং সে অনুযায়ী কাজ করতে শুরু করে।
অটোসাজেশন অনুশীলনের জন্য লিংক নিচে দেয়া হলো।
English এ শুনতে ক্লিক করুন: LISTEN EVERY DAY! “I AM” affirmations for Success
আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী অটো সাজেশন বেছে নিয়ে তা একটা কাগজে লিখে নিয়মিত অনুশীলন করতে পারেন।
বাংলাতে অটো সাজেশন এর লিস্ট পেতে ক্লিক করুন : কোয়ান্টাম হাজারো অটো সাজেশন
প্রতিটি মানুষের জন্য তার মানসিক সুস্থতা সমপরিমান গুরুত্বপূর্ণ যতটা তার শারীরিক সুস্থতা। তাই নিজের মনের গুরুত্বকে উপলদ্ধি করে নিজের মনেরও যত্ন নেয়া শুরু করুন আজ থেকেই।
উপরের স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট টেকনিক গুলোর মধ্যে আপনার জন্য সহজ ও রিলেটেড টেকনিক কোনটা আমাদেরকে কমেন্টে জানাতে পারেন। আর আপনি যদি কোনো টেকনিক অনুসরণ করে থাকেন সেটাও আমাদেরকে কমেন্টে উল্লেখ করতে পারেন।
কোনো পরামর্শ বা যোগাযোগের জন্য ইমেইল করুন: garnerstationery@gmail.com